হাইব্রিড চাল কুমড়া জুপিটার (JUPITER) লাল তীরের একটি উন্নত জাতের সবজি বীজ, যা উচ্চ ফলন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য জনপ্রিয়। এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণ ক্ষমতা থাকায় বাণিজ্যিক কৃষকদের জন্য লাভজনক।
বীজের বৈশিষ্ট্য:
- ব্র্যান্ড: লাল তীর (Lal Teer)
- জাত: হাইব্রিড
- পরিমাণ: ৫ গ্রাম
- উৎপাদনকাল: ৯০-১০০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহযোগ্য
- ফলন: অধিক ফলনশীল, একেকটি ফলের ওজন 2-3 কেজি পর্যন্ত হতে পারে
- আকৃতি: লম্বাটে ও মাঝারি আকারের, মসৃণ সবুজ খোসা এবং পরিপক্ব অবস্থায় হালকা ধূসর বর্ণের
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: ভাইরাস, পাউডারি মিলডিউ ও অন্যান্য ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে সহনশীল
চাষাবাদ পদ্ধতি:
১. মাটির প্রস্তুতি:
চাল কুমড়া চাষের জন্য উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উত্তম। মাটির pH ৫.৫-৬.৮ হলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। জৈব সার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে কম্পোস্ট প্রয়োগ করা উচিত।
২. বপনের সময়:
বাংলাদেশে চাল কুমড়া সাধারণত শীতকাল (নভেম্বর-জানুয়ারি) ও বর্ষাকাল (মে-জুলাই) মৌসুমে চাষ করা হয়।
৩. বীজ বপন:
- বীজ বপনের গভীরতা: ২-৩ সেমি
- বীজ থেকে চারা গজাতে সময়: ৫-৭ দিন
- বীজ ও চারা দূরত্ব: সারি থেকে সারি ২-৩ মিটার এবং গাছ থেকে গাছ ১.৫-২ মিটার
৪. পরিচর্যা:
- নিয়মিত পানি সেচ দেওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে।
- আগাছা পরিষ্কার করা ও প্রয়োজন অনুযায়ী পোকামাকড় দমন করতে হবে।
- লাউ বা চাল কুমড়া জাতীয় ফসলের মতো এটিতেও মাচা পদ্ধতিতে চাষ করলে ভালো ফলন হয়।
৫. সার প্রয়োগ:
- জৈব সার: গাছের প্রাথমিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়
- রাসায়নিক সার:
- ইউরিয়া: ২০০-২৫০ গ্রাম/শতক
- টিএসপি: ১০০-১৫০ গ্রাম/শতক
- এমওপি: ১৫০-২০০ গ্রাম/শতক
উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ:
জুপিটার জাতের চাল কুমড়া দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায়, যা কৃষকদের জন্য বিশেষভাবে লাভজনক। বাজারে এর চাহিদা বেশি এবং এটি কাটা অবস্থায় দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
উপসংহার:
লাল তীরের হাইব্রিড চাল কুমড়া জুপিটার জাতটি চাষাবাদে সহজ, রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল। এর দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষমতা ও দীর্ঘ সংরক্ষণযোগ্যতা কৃষকদের জন্য এটি একটি চমৎকার বাণিজ্যিক ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.