হাইব্রিড বেগুন পার্পল কিং ৫ গ্রাম (লাল তীর)
হাইব্রিড বেগুন পার্পল কিং (Purple King) লাল তীরের একটি উন্নত জাতের বীজ, যা উচ্চ ফলন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং উন্নত স্বাদের জন্য জনপ্রিয়। এই জাতের বেগুন দেখতে উজ্জ্বল বেগুনি রঙের, মসৃণ ও আকর্ষণীয় আকৃতির হয়ে থাকে। এটি বাণিজ্যিক কৃষকদের জন্য লাভজনক এবং গৃহস্থালী চাষের জন্যও অত্যন্ত উপযোগী।
বীজের বৈশিষ্ট্য:
- ব্র্যান্ড: লাল তীর (Lal Teer)
- জাত: হাইব্রিড
- পরিমাণ: ৫ গ্রাম
- উৎপাদনকাল: চারা রোপণের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে ফলন শুরু হয়
- ফলন: অধিক ফলনশীল, প্রতি গাছে ২০-৩০টি বেগুন ধরে
- ফলের আকৃতি: লম্বাটে ও মাঝারি আকৃতির, গাঢ় বেগুনি রঙের এবং মসৃণ ত্বকবিশিষ্ট
- ওজন: প্রতিটি বেগুনের গড় ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: ব্যাকটেরিয়া ব্লাইট, ফিউজারিয়াম উইল্ট এবং ভাইরাসজনিত রোগের বিরুদ্ধে সহনশীল
চাষাবাদ পদ্ধতি:
১. মাটির প্রস্তুতি:
বেগুন চাষের জন্য উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি সর্বোত্তম। মাটির pH ৫.৫-৬.৮ হলে ভালো ফলন হয়। চাষের আগে জৈব সার ও কম্পোস্ট মিশিয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা উচিত।
২. বপনের সময়:
বাংলাদেশে বেগুন সাধারণত শীতকাল (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) ও গ্রীষ্মকাল (মার্চ-জুন) এই দুই মৌসুমে চাষ করা হয়।
৩. বীজ বপন:
- বীজ থেকে চারা গজাতে সময়: ৫-৭ দিন
- চারা রোপণের দূরত্ব: সারি থেকে সারি ৬০-৭০ সেমি, গাছ থেকে গাছ ৫০-৬০ সেমি
৪. পরিচর্যা:
- পর্যাপ্ত রোদ ও পানি নিশ্চিত করতে হবে
- আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে
- গাছের বৃদ্ধি ও শাখা বিস্তার বাড়াতে নিয়মিত ছাঁটাই করা উচিত
৫. সার প্রয়োগ:
- জৈব সার: মাটির পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়
- রাসায়নিক সার:
- ইউরিয়া: ২০০-২৫০ গ্রাম/শতক
- টিএসপি: ১৫০-২০০ গ্রাম/শতক
- এমওপি: ১০০-১৫০ গ্রাম/শতক
উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ:
পার্পল কিং জাতের বেগুন গুণগত মানের দিক থেকে উন্নত এবং দীর্ঘ সময় সংরক্ষণযোগ্য। এটি বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয় এবং কৃষকদের জন্য লাভজনক।
উপসংহার:
লাল তীরের হাইব্রিড বেগুন পার্পল কিং দ্রুত বৃদ্ধি, অধিক ফলন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি উৎকৃষ্ট জাত। এটি বাণিজ্যিক চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী এবং কৃষকদের জন্য লাভজনক একটি বিনিয়োগ।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.